Revealer Info https://www.revealerinfo.com/2022/06/song-record-softwar.html

গান রেকর্ড করার সফটওয়্যার | গান মিউজিকসহ রেকর্ড করার নিয়ম ২০২২

গান রেকর্ড করার সফটওয়্যার । যেকোনো গান মিউজিক সহ রেকর্ড করার নিয়ম। আমরা কম বেশি সবাই গান শুনে থাকি। 
গান রেকর্ড করার সফটওয়্যার
ভালো লাগার এই গান তৈরি করার পিছনে থাকে অনেক লুকাহিত গল্প যা সম্পর্কে আমরা অনেকেই জানি না। আমরা অনেকেই আছি যারা মাঝে মাঝে নিজের ফোনের রেকর্ডিং অপশন থেকে নিজের ভয়েসে গান রেকর্ড করে থাকি তবে সেগুলো তেমন একটা শুনতে ভালো লাগে না। কিন্তু এর কারন কি তা কি জানেন? 

গান রেকর্ড করার সফটওয়্যার 

একটা গান রেকর্ড করার পর সেই রেকর্ড করা গানটাকে বিভিন্ন ভাবে ফিল্টারিং করা হয় শ্যূতিমধুর করার জন্য। আর এসকল প্রসেস সম্পন্ন করা হয় সফটওয়্যারের মাধ্যমে। ফিলিং ইন্টারেস্টিং? তাহলে জেনে নিন গান রেকর্ড করার সফটওয়্যার সম্পর্কে এবং কিভাবে সফটওয়্যারের মাধ্যমে গান গুলো তৈরি করা হয় সেই সম্পর্কে। 

শুরু করার আগে জানিয়ে রাখি কোন কোন বিষয়ের উপর নির্ভর করে গান রেকর্ড করার সফটওয়্যার গুলো নির্বাচন করা হয়। 

১) অডিও প্লাগিন সামঞ্জস্যতা:  গান রেকর্ড করার ক্ষেত্রে আগে দেখে নিতে হবে অডিও মিউজিক ইডিট করার জন্য সেরকম গঠন পিসি বা কম্পিউটারে থাকা প্রয়োজন সেটা ঠিক আছে কিনা। এক্ষেত্রে VST ( virtual studio technology ) সবচেয়ে  বেশি ব্যবহার হয়ে থাকে অডিট ইডিট জর্নিত কাজ করার জন্য

২) অপারেটিং সিস্টেম: গান রেকর্ড করার সফটওয়্যার যেগুলো আছে সেগুলো ব্যবহার করার ক্ষেত্রে অনেক সময় অপারেটিং সিস্টেমের রেস্টিকশন থেকে থাকে। কিছু যেমন কম্পিউটারে ব্যবহার করা যায় ম্যাকবুকে ব্যবহার করা যায় না। তাই আপনি যে সফটওয়্যারটি ব্যবহার করতে যাচ্ছেন সেটা আপনার অপারেটিং সিস্টেমের সাথে মানিয়ে নিতে সক্ষম কিনা সেটা দেখে নিতে হবে। 

৩) অডিও রেকর্ডিং সুবিধাসমূহের পরিমান: একটি গানের অডিও বা যেকোনো ধরনের অডিও যখন রেকর্ডের প্রয়োজন হয় তখন মূল ভয়েসের পাশাপাশি আরো অনেক সাইড ও ব্যাকগ্রাউন্ড মিউজিকের প্রয়োজন হয়। আপনি যখন একটি সফটওয়্যার বেছে নিবেন সেটার লাইব্রেরিতে কিরুপ পরিমানের হেল্পিং সাউন্ড রয়েছে তা বিবেচনায় আনতে হবে। 

৪) মূল্য: আমরা সচারচর দুই ধরনের সফটওয়্যার দেখে থাকি একটা ফ্রি আরেকটা পেইড। এবং কিছু এমন থাকে যে কিছু ফিচার্স থাকে ফ্রিতে এবং বাকি ফিচার্স থাকে পেইড। তাই যখন একটি সফটওয়্যার বেছে নিবেন তখন অবশ্যই খেয়াল রাখবেন যে আপনি যা ফিচার্স সমূহ ব্যবহার করছেন সেগুলোর জন্য প্রকৃত মূল্য দিচ্ছেন কিনা। 

৫) আফটার সেল সার্ভিস: সফটওয়্যারের মধ্যে সমস্যা দেখা দিতেই পারে, তবে উক্ত সমস্যা সমাধানের জন্য সফটওয়্যারের প্রোভাইডার কিরুপ সার্ভিস দিচ্ছে তা দেখার বিষয়। কোনো সফটওয়্যার নেয়ার আগে সেটির আফটার সেল সার্ভিস কেমন সে সম্পর্কে জেনে নিবেন। 

গান রেকর্ড করার সফটওয়্যার সমূহ (ফ্রি ও পেইড) 

GarageBand

সম্পুর্ণ ফ্রি এই সফটওয়্যারটি ব্যবহার করা যাবে ম্যাক, আইপ্যাড, আইওএস অপারেটিং সিস্টেমে। ড্রাম বিট, গিটার, ভয়েস প্রিসেট সহ আরো অনেক অনেক ফিচার্স সম্পন্ন সফটওয়্যারটিতে আছে সায়বড লাইব্রেরি যেখানে মিলবে অসংখ্য হেল্পিং সাউন্ড। ভিজ্যুয়াল ইকিউ, কম্প্রেশন, ও ভয়েস প্রিসেট এর মত গঠন মূলত ইডিটের সাথে আপনার গানকে দিতে পারবেন এক অন্যরকম লেভেল। 

Garageband সফটওয়্যারটি ভিজিট করুন - [ https://www.apple.com/mac/garageband/ ]

Windows Voice Recorder 

উইন্ডোজের পক্ষ থেকে ফ্রিতে ব্যবহার করতে দেয়া সফটওয়্যারটির মাধ্যমে ব্যাসিক পর্যায়ে সকল কাজই করা যাবে। উক্ত সফটওয়্যারের মাধ্যমে রেকর্ড করা মিউজিক গুলো খুব সহজেই যেকোনো অ্যাপ বা প্লাটফর্মে শেয়ার করা যায়। তবে এটি কেবলই আপনার একক ভয়েস রেকর্ড করার জন্য বেশ ভালো আহামরি হার্ড মিউজিক ইডিট করা যায় না। 

ভিজিট করুন - [ https://apps.microsoft.com/store/detail/9WZDNCRFHWKN?hl=en-us&gl=US ]

WavePad 

উইন্ডোজ, ম্যাক, আইওএস, এন্ড্রোয়েড সহ সব কয়টি অপারেটিং সিস্টেমে চলতে সক্ষম গান রেকর্ড করার সফটওয়্যার হলো WavePad । এটি সম্পুর্ণ ফ্রি একটা সফটওয়্যার যা দিয়ে বাইরের মাইক্রোফোনের সাথে যুক্ত করা যাবে। এতে সাউন্ডের লেভেলের পাশাপাশি বেশ কিছু স্থানে কোয়ালিটি বাড়ানো সম্ভব হবে। সফটওয়্যারটি দিয়ে একটা ভয়েস বা মিউজিকের ক্ষেত্রে যা করা যাবে তা হচ্ছে - কপি, কাট, পেস্ট, কম্প্রেশন, পিচ শিফটিং, ইকো, রিভার্ব সহ যাবতীয় সকল ধরনের কাজই। তাছাড়া ইডিটিং সম্পন্ন হলে তা WAV, MP3, VOX, WMA ফরমেটে অডিও ডাউনলোড করা যাবে। 

সফটওয়্যারটি পেতে ভিজিট করুন [ https://www.nch.com.au/wavepad/index.html ]

Audacity 

এটা বেশ জনপ্রিয় একটি সফটওয়্যার যেকোনো অডিও রেকর্ড করার ক্ষেত্রেই। এটার জনপ্রিয়তার কারন হচ্ছে এটা মোটামোটি সব ধরনের অপারেটিং সিস্টেমের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ এন্ড্রয়েড ব্যাতিত, পাশাপাশি এটি Linux এও ব্যবহার করা যায়। এক্সটার্নাল মাইক্রোফোনের ব্যবহারের মাধ্যমে সাউন্ড রেকর্ডে পাওয়া যাবে অন্য রকম লেভেলের মিউজিক। গান রেকর্ড করার সফটওয়্যার যারা খুজছেন পাশাপাশি লাইভ অডিও রেকর্ড করতে চান তবে এটি হতে পারে আপনার সেরা পছন্দ। সফটওয়্যারটি wav, aiff, mp3, au, flac, ogg vorbis ফরম্যাটে ডাউনলোড যোগ্য। 

Audacity সফটওয়্যারটি পেতে ভিজিট করুন [ https://www.audacityteam.org/download/ ]

Otter 

আপনি যদি ব্রাউজার ভিত্তিক অডিও রেকর্ড করার জন্য কিছু খুজে থাকেন তবে এটি আপনার জন্য। যদিও এটার সফটওয়্যার ভার্সনও রয়েছে। এন্ড্রয়েড ও IOS অপারেটিং সিস্টেমে ব্যবহারযোগ্য সফটওয়্যারটি প্রতি মাসে ৬০০ মিনিট পর্যন্ত ফ্রিতে ব্যবহার করতে পারবেন এবং এর বেশি ব্যবহারের প্রয়োজন পরলে নিতে হবে প্রিমিয়াম প্যাক। যেহেতু এটি প্রিমিয়াম একটা এন্ড্রয়েড ভার্সন সফটওয়্যার তাই কোয়ালিটির দিক থেকে অন্যতম। রিয়েল টাইম ট্রান্সক্রিপশন, লাইভ রেকর্ডিং সহ এক্সট্রার্নাল মাইক ব্যবহারের সুবিধা থাকছে এতে। ফাইল ডাউনলোড করা যাচ্ছে AAC, MP3, MP4, WAV, WMA এর মত ফরম্যাটে। 

Otter এর ওয়েবসাইটি হচ্ছে [ https://otter.ai ] 

Adobe Audition 

এটি পেইড সফটওয়্যার উইন্ডোজ ও ম্যাক এর জন্য কেবল। যেহেতু এটি Adobe এর একটি প্রোডাক্ট তাই এর কোয়ালিটির উপর নিশ্চিন্তে ভরসা করা যায়। মাসে ২০.৯৯ ডলারের বিনিময়ে ব্যবহার করা যাবে সফটওয়্যারটি যেখানে থাকবে ১২ হাজারেরও বেশি সাউন্ড ইফেক্ট এবং একাধিক ট্র্যাক রেকর্ডের সুবিধা। এটির একটি বিশেষ বৈশিষ্ট্য হচ্ছে Adobe Audition এর মাধ্যমে মিক্স মিউজিক ও মাস্টার অডিও অন্য সব সফটওয়্যার থেকে ভালোভাবে করতে পারে। 

সফটওয়্যারটি পেতে ভিজিট করুন [ https://www.adobe.com/products/audition.html ] 

পরিশেষে, গান রেকর্ড করার সফটওয়্যার গুলো সম্পর্কে জানালাম যেখানে কিছু ফ্রি ও কিছু পেইড ভার্সনের ছিলো এবং সেসব সফটওয়্যারের স্পেশাল ফিচার্স ও কাজের ধরন জানিয়েছি। যার থেকে যেকোনো একটি বেছে আপনার গান রেকর্ড করতে পারবেন নিশ্চিন্তে। আপনি কেমন গান রেকর্ড করতে চাচ্ছেন তার কোয়ালিটি কিরুপ হবে তার উপর নির্ভর করবে আপনার জন্য ফ্রি ভার্সনে হয়ে যাবে নাকি পেইড লাগবে, তার উপর অপারেটিং সিস্টেমের ব্যাপারটাও মাথায় রাখতে হবে যেকোনো সফটওয়্যার বেছে নেয়ার ক্ষেত্রে।

Share this post:

0 Comments

Please read our Comment Policy before commenting. ??

Revealer Info